ডাকিনী সিজন ৩ (18+ সতর্কতা )  প্রথম পর্ব . Dakini Season 3 (18+ Warning)  First episode

ডাকিনী সিজন ৩ (18+ সতর্কতা ) প্রথম পর্ব . Dakini Season 3 (18+ Warning) First episode |

Description
Published on April-06-2024 17: 32: 10

ডাকিনী সিজন ৩ (18+ সতর্কতা ) 
প্রথম পর্ব
#লেখক_আনোয়ার_হোসেন

(গল্পটি এডমিনের অনুমতি ছাড়া কোথাও পোষ্ট করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। যদি কেউ এডমিনের অনুমতি ব্যতিত গল্পটি কপি করে কোথাও পোষ্ট করে, তাহলে সে “অমানুষ” ও চোর বলে গন্য হবে। কথাগুলো আপনাদের কাছে খারাপ লাগতে পারে, তাই দুঃখিত! কথাগুলো শুধুমাত্র চোরদের উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে। যাদের কাজই অন্যের গল্প কপি করে পোষ্ট করা )

বিকেল গড়িয়ে সন্ধা হতেই যাচ্ছে ....! পাহাড়ী এলাকা হওয়ার সুবাধে এখানে দূর দূরান্ত থেকে প্রচুর পর্যটক দেখতে আসে। সন্ধা প্রায় হয়েই গেল। সবাই যার যার মতো বাড়ি ফিরতে শুরু করে। সিফাত,সাজু,ও হিমেল তারা তিন বন্ধু সেই এরিয়াতে বসে আছে। তারা মূলত চু**রি করে বেড়ায়। চুরি করে যাদের দিন চলে। একজন চু**রি করতে পারলে,সে বাকিদের মাঝেও তা বিলিয়ে দেয়। সাজু বলে এই দেখ সামনে একটা মেয়ে হেটে যাচ্ছে। মেয়েটার গায়ে প্রচুর গয়না আছে। এটা দেখে তারা তিনজনই ঠিক করে এই মেয়ের থেকে তারা সমস্ত গহনা চু**রি করবে।

সিফাত বলে নারে এ তো মেয়ে মানুষ।তুই তো জানিসই আমরা কোনো মেয়ে মানুষের থেকে চু**রি করি না। হিমেল বলে হ্যাঁ তুই ঠিকই বলেছিস, আমরা তো মেয়ে মানুষের থেকে কখনো চু**রি করিনি। সাজু তাদেরকে বোঝাতে থাকে দেখ দোস্ত, এই সময়টাতে আমাদের হাতে কোনো টাকাপয়সা তেমন নেই। এই মেয়ের থেকে গহনাগুলো চু**রি করলে আমরা কয়েকদিন অনায়াসে বসে খেতে পারবো। আমরা ফুর্তি করবো আর ঘুরে বেড়াবো। সাজুর কথা শুনে তারা দুজনেই মত দেয়। ঠিক আছে তা নাহয় করলাম। কিন্তু দেখিস ভাগাভগির সময় কিন্তু কোনো ছলছাতুরি চলবে না। সাজু বলে আগে তো চু**রি করে নেয় তারপর ভাগাভাগির কথায় আসি।

ঐ তো মেয়েটি পাহাড়ের ঐ পাশে গেল। মনে হচ্ছে মেয়েটি পাহাড়ের ওখানে হয়তো কারো সাথে দেখা করবে। তারা তিনজন দৌড়ে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখে মেয়েটি কোথাও নেই। তিনজনই এতে অবাক হয় আরে মেয়েটি গেল কোথায়? পরক্ষণেই তারা দেখতে পায় মেয়েটি সামনে পাহাড়ের গভীর বনের দিকে যাচ্ছে। সাজু বলে ঐ যে, ,,মেয়েটি তো বনের দিকে যাচ্ছে। সিফাত বলে হয়তো এই মেয়েটি পথ ভূলে সেদিকে চলে গিয়েছে। হিমেল বলে সে যাই হোক,এখন চল আমরা কাজে লেগে পরি।

তারা তিনজনই সেখানে মেয়েটির দিকে দৌড়াতে থাকে। একসময় তিনজনই সেই মেয়েটির কাছেই চলে যায়। সাজু মেয়েটিকে কাছ থেকে দেখে অন্যমনস্ক হয়ে যায়। মেয়েটির সৌন্দর্য তাকে কাছে টানছে। মুহূর্তের মধ্যেই সাজুর চুরির নেশা কেটে যায়। সে বলতে থাকে তোরা দেখেছিস, এই মাইয়া টা কতো সুন্দর। আর আমি এই সুন্দরীর সাথে একান্তে কিছুটা সময় কাটাতে চাই। সিফাত বলে এই সাজু তুই কি পাগল হয়ে গেলি নাকি। সাজুর মনে মেয়েটির দেহের প্রতি একধরনের লালশা জেগে উঠে। সে চোখ বড় করে মেয়েটির দিকে তাকায়।

ততক্ষণে বাকি দুজন মেয়েটিকে ধরে ফেলে। মেয়েটির এক হাতে সিফাত অন্য হাতে হিমেল ধরে। তাদের থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য মেয়েটি বারার আকুতি মিনতি করতে থাকে। সাজু বলে আরে ঐ মাইয়া একদমই চিল্লাচিল্লি করবি না বললাম। যদি চিল্লাস তাহলে মে***রে এই পাশের বনে ফেলে রাখবো। তুই যে একটা নষ্টা মাইয়া, এটা আমরা জানি,নয়তো তুই এই সন্ধা রাতে এখানে একা একা কি করিস। তোকে তো আজ আমি....! সিফাত বলে দেখ সাজু আমাদের কিন্তু উদ্দেশ্য এটা ছিল না।

সাজু বলে দেখ এরকম নিরিবিলি গহীন বনে আমরা ছাড়া এখানে আর কেউ নেই। এই মা***টাকে তো আমরা ভোগ করে তবেই ছারবো। এখন পর্যন্ত কোনো মেয়ে মানুষের সঙ্গ পাইনি। এর সাথে আমাদের বেশ ভালো সময় কাটবে। মেয়েটির দেহের প্রতি সাজুর লালশা এতোটাই বেড়ে পায় যে সে বলতে থাকে,তোদের যা নেবার নিয়ে নে। আমি এর শরীরটা ছাড়া আর কিছু চাই না। আমার তো শুধু এর দেহটা চাই।

সাজুর মুখে এসব কথা শুনে সিফাত ও হিমেল বলে দেখ সাজু আমরা চোর হতে পারি কিন্তু এরকম নিকৃষ্ট খারাপ কাজ আমরা করতে পারবো না। আমরা চোর হতে পারি তাই বলে একটা মেয়ের ইজ্জত আমরা নষ্ট করতে পারিনা। মেয়েটির সাথে এমন হীন কাজ করতে পারবো না। সাজু বলে দেখ সুযোগ টা হাতছাড়া করিস না। জলদি কাজে লেগে পর। সিফাত রাগান্বিত হয়ে বলতে থাকে....! দেখ সাজু তুই যা করতে চাচ্ছিস তা তো আমরা কখনো করবোই না। তোকেও কিছু করতে দেবো না।

আর আমরা একে ছেড়ে দেবো। আমরা মেয়েটির গহনাও চুরি করবো না। সিফাতের কথায় হিমেলও সায় দেয়। সাজু বলে দেখ তোরা এটা করতে পারিস না। এই মেয়েটি আমাদের কাছে ধরা দিয়েছে। একে তো আমি...! সিফাত মেয়েটিকে জিগ্যেস করে, এই মেয়ে তোমার নাম কি?আর তুমি এই সন্ধাবেলা এখানে কি করছো?মেয়েটি বলে আমার নাম তুলি। আমি  বোনের ছোট ছেলেকে নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম। কিন্তু হঠাৎই ছেলেটাকে কোথাও খুজে পাচ্ছি না। ছেলেটা তো এদিকেই এসেছিল। হঠাৎই কোথায় গেল বুঝতে পারছি না।

সিফাত বলে তাহলে এই বেপার,আমরা যদি তোমার বোনের ছেলেকে খুঁজে  দিতে পারি তাহলে তার বিনিময়ে তুমি আমাদের কি দেবে? মেয়েটি সরল মনে বলে ফেলে তোমরা যা চাইবে,তাই পেয়ে যাবে। সাজু বলে আমার কিছু লাগবে না। কোনোকিছুই আমার প্রয়োজন নেই। আমার শুধু তোমাকে চাই। তোমার দেহটা আমার কিছু সময়ের জন্য চাই। হিমেল বলে দেখ সাজু তুই এসব কি বলছিস। ছিঃ সাজু ছিঃ আমরা তোর বন্ধু,আমাদের কথাটা একবার শোন। সাজু বলে না,সে তুলির হাতে শক্ত করে ধরে রাখে। এর সাথে আমি কিছু করবোই। সাজুর সাথে এই বেপারটি নিয়ে তিনজনের মধ্যেই ঝগড়া বেধে যায়। তারা দুজনে মিলে সাজুকে মারতে যায়।

তাদের হাতাহাতির এক পর্যায়ে সুযোগ বুঝে মেয়েটি কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঝগড়া থামলে তারা দেখতে পায়,সেখানে মেয়েটি নেই। এটা দেখে তিনজনই রাগান্বিত হয়ে আশেপাশে তন্নতন্ন করে মেয়েটিকে খুজঁতে থাকে। কিছুক্ষণ খোঁজার পর তারা মেয়েটিকে না পেয়ে সেখান থেকে আসতেই যাবে...! অমনি সাজু মেয়েটিকে দেখে ফেলে। মেয়েটি তাদের থেকে পালিয়ে দূরে একটা ঝোপের আড়ালে লুকিয়েছে। মেয়েটির পরনের কাপড়ের কিছু অংশ দেখা যাচ্ছে। সাজু কোনোকিছু না বলে সেদিকে দৌড়াতে থাকে। মেয়েটির দেহের প্রতি সে এতোটাই আকৃষ্ট হয়েছে,তার মাথায় অন্য কিছু কাজ করছে না। সিফাত ও হিমেল তাকে অনেক ডাকলেও সে পিছু ফিরে তাকায়নি পর্যন্ত।

সাজুকে দেখা যায়,সে ঝোপের আাড়ালে চলে যায়। হিমেল বলে নারে একে নিয়ে আর পারা গেল না। কিছু সময় পর হিমেল ও সিফাত সেখানে যায়। কিন্তু তারা সেখানে যাবার পর কোথাও সাজু ও মেয়েটিকে দেখতে পায়না। সিফাত ও হিমেল দুজন দুজনের দিকে তাকায়। কিরে সাজু তো এখানেই এসেছিল,তাহলে সে কোথায় গেল! দুজনে মিলে সাজুকে অনেক খুঁজতে থাকে। অবশেষে সাজুকে না পেয়ে আসতেই যাবে,,,অমনি তারা পেছনে কারো চিৎকার শুনতে পায়। দুজনেই পেছন ফিরে তাকায়। তারা দেখতে পায়,মেয়েটি অনেক ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। খুবই ভয়ঙ্কর তার চেহারা। মেয়েটি তার পরনের শাড়ির এক অংশ দিয়ে সাজুর গ**লায় পেঁ**চিয়ে ধরে। সাজু চোখ_মুখ বড় করে তাকায়। তার জিহ্বা অনেকখানি বের হয়ে আসে। সিফাত কিছু করতে গেলে,মেয়েটিকে তাকে মাটিতে ফেলে দেয়।

হিমেল ভয়েতে সামনে এগোয় না। সাজুর না**ক মু**খ দিয়ে র***ক্ত বের হতে থাকে। দেখতে দেখতে তাদের সামনে সাজুর মৃত্ু হয়। আর তখনই সিনেমাটি শেষ হয়। সিনেমা হল থেকে সবাই বের হতে থাকে। এতোক্ষন যাবত কৈশিক ও তার বন্ধু পরশ সিনেমাটি দেখে শেষ করলো। তারা হরর মুভি দেখতে খুবই পছন্দ করে। সবার মতো দুজনে হল থেকে বাহিরে বের হয়ে আসে। তারা মূলত নাইট শো দেখেছে। এখন বাড়ি ফেরার পালা। দুজনেই হাটতে থাকে,কিন্তু সামনে গেলে তারা দেখতে পায়...রাস্তায় কোনো রিক্সা নেই। কৈশিক তো বলেই ফেলে এই যা এখন কি হবে। হেটে বাড়ি গেলে তো অনেক দেরি হয়ে যাবে। বাড়িতে দেরি করে গেলে তো আম্মু আমাকে অনেক বকবে। বাড়িতেই উঠতে দেবে না।

পরশ বলে আরে তুই কি মেয়ে মানুষ নাকি যে এতো চিন্তা করছিস। কৈশিক বলে নারে তুই আমার আম্মুকে চিনিস না। আম্মু আমাকে অনেক শাসন করে। আর এখন এতো দেরিতে বাড়ি ফিরতে দেখলে আমার রক্ষা নেই। পরশ বলে তুই এক কাজ করতে পারিস। এই নে আমার ফোন থেকে তোর মাকে একটা কল দিয়ে বলে দে যে,তুই আজ রাতে বাড়িতে ফিরবি না। তুই তোর এক বন্ধুর বাড়িতে আছিস। কৈশিক বলে তুই ঠিকই বলেছিস। বুদ্ধিটা মন্দ নয়। সে তার মাকে ফোন করে বলে ,আম্মু আমি আজ রাতে বাড়িতে ফিরবো না। আমি এই মুহূর্তে আমার এক  বন্ধুর বাড়িতে আছি।

তার মা তাকে সাবধানে থাকতে বলে। আমি এখন রাখছি আম্মু বলেই কৈশিক ফোন কেটে দেয়। পরশ বলে দেখেছিস আমার বুদ্ধিতে আজ তুই বেঁচে গেলি। তারা দু্জনে সিনেমাটি নিয়ে গল্প করতে করতে হাটতে থাকে। পরশ বলে দোস্ত সিনেমাটি ভূতের সিনেমা হলেও নায়িকা কিন্তু পুরাই অস্থির ছিল। কি সুন্দর আর জিরো ফিগারের একটা মেয়ে ছিল। তারা এভাবেই গল্প করতে_করতে বাড়ি ফিরে। পরশের বাড়িতে তার মা,ছোটবোন ও তার দাদি বাস করে। তার বাবা শহরে থেকে চাকরি করে। পরশের ছোটবোনের নাম অবন্তি। সে নবম শ্রেনীতে পড়ে। কৈশিক দেখে অবন্তি বসে পড়ছে।

পরশ অবন্তির কাছে গিয়ে জিগ্যেস করে কিরে মা কোথায়? অবন্তি বলে মা তো রান্নাঘরে রান্নার কাজ করছে। পরশ বলে কৈশিক তুই এখানে বস। আমি একটু ফ্রেশ হয়ে আসছি। এই বলে সে চলে যায়। কৈশিক বসে আছে। অবন্তি এক মনে পড়েই যাচ্ছে। এখন রুমে সে একা...। কৈশিক একনজরে অবন্তির দিকে তাকিয়ে আছে। আর অমনি সে অবন্তিকে সিনেমায় দেখা সে নায়িকা মনে করতে থাকে। মানে অবন্তিকে তার চোখে সিনেমায় দেখা সেই নায়িকা মনে হচ্ছে। সে আস্তে আস্তে অবন্তির কাছে যায়। কৈশিক তার দিকে এভাবে যাওয়া আর এমন চাহুনী দেখে অবন্তি পড়া বন্ধ করে দেয়। এখন সে অবন্তির খুব কাছেই দাড়িয়ে। অবন্তি কিছুই বুঝতে পারছে না,কৈশিক তার দিকে এভাবে কেন তাকাচ্ছে।

কৈশিক তাকে নায়িকা মনে করে যা_তা বলা শুরু করে দিয়েছে। তোমার সুন্দর চোখ আর লম্বা চুল আমার খুবই ভালো লাগে। ঠিক তখনই রুমে অবনন্তির মা চলে আসে। কিরে মা পড়া বন্ধ করলি কেন? অবন্তি বলে না মানে কৈশিক ভাইয়া এসেছে তো তাই। তার মা বলে ও আচ্ছা কৈশিক তুমি এসেছো। তা দাড়িয়ে কেন বসো। কৈশিক জিগ্যেস করে আন্টি আপনি কেমন আছেন? উনি বলেন এইতো ভালো আছি। ততক্ষণে পরশ চলে আসে। পরশ বলে মা আজকের রাতটা কৈশিক আমাদের বাড়িতেই থাকবে।

তার মা বলে ঠিক আছে পরশ তুই কৈশিককে নিয়ে পাশের রুমে যা। আমি খাবার রেডি করছি। পরশ কৈশিককে নিয়ে পাশের রুমে যায়। সে ভাবে পরশের মা কতো ভালো। তিনি পরশকে কিছুই বললো না। আমার মা আমাকে কতো শাসন করে। অবন্তি তখনও পড়ছে। পরশ ও কৈশিক দুজনে বসে খাবার খায়। খাবার খেয়ে দুজনে বসে গল্প করছে। তখনই অবন্তি পরশকে ডেকে বলে...

____ভাইয়া দেখ তো বাহিরে কে যেন ডাকছে।
____আচ্ছা ঠিক আছে, আমি দেখছি কে এসেছে।
বাহিরে গিয়ে পরশ দেখে বাহিরে কৈশিকের মা দাড়িয়ে আছে। আরে আন্টি আপনি এই সময়।
____হ্যাঁ বাবা আমি এসেছি, কৈশিকের সাথে একটু কথা ছিল,আজ কৈশিকের বাবা খুবই অসুস্থ। তিনি বিছানা থেকে উঠতেই পারছেন না।
____বলেন কি আন্টি!আপনি ভেতরে আসুন। আমি কৈশিককে ডেকে দেই।
____না,না বাবা তুমি শুধু তাকে এটা বলে দিও। আমি তাহলে যায়। একথা বলে তিনি চলে যান।
পরশ গিয়ে কৈশিককে ডেকে তার বাবার অসুস্থতার কথা বললে...কৈশিক বলে...
____আরে হঠাৎই বাবা অসুস্থ মানে বুঝলাম না। কিছুক্ষণ আগেও তো আমি মায়ের কথা বলেছি। কই তখন তো মা আমাকে বাবার অসুস্থতার বেপারে কিছু বলেনি।

___আরে অসুস্থ হতে আর কতক্ষণ লাগে?
___কিন্তু তারপরও আমার কাছে বেপারটা অদ্ভুত লাগছে। আমি বরং মাকে একটা কল দিয়েই দেখি মা কি বলে।
___ঠিক আছে তুই কল দিয়ে কথা বলে নে।
"কৈশিকের ফোনে ব্ালেন্স না থাকায় সে পরশের ফোন থেকে তার মাকে কল দেয়। কিন্তু তার মা কল রিসিভ করেনি। তাই সে এই রাতের বেলা বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরে। পরশও তাকে কিছু বলেনি। যেহেতু তার বাবা অসুস্থ তাই তাকে যেতেই হবে। 

কৈশিক তার ফোনের টর্চ অন করে বাড়ির পথে হাটতে থাকে। চারপাশে ঝিঝিপোকার ডাক ছাড়া আর কিছু শোনা যাচ্ছে না। সে একা, তাই মনে কিছুটা ভয়ও করছে। সে হাটতেছে....কিন্তু তার কাছে মনে হচ্ছে, কেউ আড়াল থেকে তার দিকে দৃষ্টি রাখছে। সে কোনো কারন ছাড়ায় পেছনে ফিরে তাকায়। আশেপাশে কেউই নেই। অন্ধকারে টর্চের আলোয় আবারো সে হাটতে থাকে। হাটতে হাটতে সে বেশ খানিক পথ চলে আসে। তখনই সে কোনো মহিলার কান্নার আওয়াজ শুনতে পায়।

রাস্তার পাশে একটি ছোট্ট ঝোপঝাড়ে ঘেরা ডোবা ছিল। তার কাছে মনে হচ্ছে কান্নার আওয়াজটি সেই ডোবা থেকেই আসছে। কিছুক্ষণ পূর্বে সে সিনেমা হলে ভূতের মুভি দেখে এসেছে। তাই তার কিছুটা ভয় করছে। ডোবার কাছে দাড়িয়ে সে টর্চ মারে। কিন্তু সেখানে কাওকেই দেখা যাচ্ছে না। আশ্চর্য এখানে তো কেউই নেই।সে খেয়াল করে রাস্তার উপর কেউ দাড়িয়ে আছে। সেটা দেখে মনে হচ্ছে কোনো মহিলা দাড়িয়ে আছে। কৈশিক মহিলাটির দিকে এগোতে থাকে। আর কিছুটা পথ এগোলেই সে বুঝতে পারে,মহিলাটি তার মা।

সে তার মাকে ডেকে থামায়। আরে মা তুমি আমাকে না নিয়েই চলে আসলে যে...। শুনলাম বাবা নাকি অসুস্থ। বাবার কি হয়েছে? কিন্তু না তার মা কোনো কথায় বলছে না। ঐ মা তুমি কথা বলছো না কেন? কিন্তু তার মা কোনো কথায় বলছে না। কৈশিক শুনতে পায়,পেছন থেকে কে যেন তার নাম ধরে ডাকে। সে পেছন ফিরে তাকালে সেখানে পরশকে দেখতে পায়। আরে পরশ তুই এখানে কেন? পরশ বলে....
---বন্ধু কোনো কথা না বলে তারাতারি আমার সাথে চল।
---তোদের বাড়িতে! কিন্তু বাড়িতে যে বাবা অসুস্থ আর আমার সাথে এখন মা আছে।
---তোকে যা বলছি তাই কর। তারাতারি আমার সাথে বাড়ি চল।

কৈশিক কিছুই বুঝতে পারছে না। পরশ তাকে এসব কি বলছে। কিন্তু সে পরশের কাছে জানতে চায়,কেন সে আবারো তাদের বাড়িতে যাবে। কৈশিক কোনোকিছু বলার আগে পরশ তার হাত ধরে টানতে টানতে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরশের এমন আচরণ দেখে কৈশিক বলে.....
----কিরে পরশ,তোর কি হয়েছে?এমন করছিস কেন?আমার মাকে একা ফেলে আমাকে আবারো আসতে হলো।
----আরে রাখ তোর মা। ঐটা তোর মা ছিল না!
----মা ছিলনা মানে!!তুই কি বলছিস এসব?
----আমি ঠিকই বলছি,বিশ্বাস না হলে একবার আমার ফোনটা দেখ। তাহলেই বুঝতে পারবি।

কৈশিক পরশের ফোনে তার মায়ের নাম্বার থেকে কল আসতে দেখে। কল রিসিব করলে কৈশিক জানতে পায়,তার বাবা সুস্থ আছে। আর তার মা এখন বাড়িতেই আছে। এটা জানার পর কৈশিক খুবই অবাক হয়। সর্বনাশ!!এতোক্ষন তাহলে আমি কোনো একটা খারাপ কিছুর পিছু নিয়েছিলাম। যাক বন্ধু তুই সময়মতো সেখানে না পৌছালে হয়তো সেটি আমার ক্ষতি করতো। তোকে কি বলে যে ধন্যবাদ দেবো। 
___আরে বাদ দে তো,,,তুই যখনি আমাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলি। এর কিছুক্ষণ পরই তোর মায়ের কল আসে। আর কল রিসিভ করলেই আমি সবকিছু জানতে পারি। সাথে সাথে আমি তোকে ডাকতে ডাকতে সেখানে গিয়ে পৌছায়। পরশ বলে দোস্ত আজ রাতটা আমাদের বাড়িতেই থেকে যা। নয়তো রাতের বেলা কে জানে সেই ছদ্নবেশীটা তোকে কোনো না কোনোভাবে ক্ষতি করতে পারে।

পরশের কথা শুনে কৈশিক ও চিন্তা করে এটাই ভালো হবে। আজকের রাতটা সে পরশের বাড়িতেই থাকবে। তাই সে মনস্থির করে আজকের রাতটা সে পরশের বাড়িতেই কাটাবে। রাতে পরশের সাথে শুয়ে কখন যে ঘুমিয়ে পরে। পরদিন সকালে পরশের বোন অবন্তির ডাকে তাদের ঘুম ভাঙ্গে। ঘুম থেকে উঠেই কৈশিক অবন্তির দিকে তাকায়। অবন্তি বয়সে অনেক ছোট হলেও সে তার দিকে একপলকে তাকিয়ে দেখে। সাথে সাথে অবন্তি সেখান থেকে চলে যায়। মেয়েটার বয়সই আর কতোই বা হবে। সবেমাত্র সপ্তম শ্রেনীতে পড়ছে। মেয়েটাকে দেখলেই কৈশিকের কেমন যেন মায়া লাগে।

কৈশিক বলে বন্ধু আমার বাড়িতে কাজ আছে। এখন আমাকে যেতে হবে বলেই সে বাড়ির উদ্দেশ্য বেরিয়ে পরে। বাড়িতে যেতে না যেতেই তার মায়ের কাছে অনেক কথা শোনে। তার মা তাকে বেশিই শাসন করে। এ বেপারটি কৈশিকের কাছে ভালো লাগে না। তার তো মায়ের প্রতি ক্ষোভ তৈরী হয়। পরশের মা কতো ভালো। তাকে কিছুই বলেনি। তার মা বলে তোকে লেখাপড়ায় ভালো করতে হবে। কৈশিক পড়তে বসে। একসময় তার মায়ের ডাকে সেখানে গেলে দেখে সকালের নাস্তা রেডি করা আছে। কৈশিক নাস্তা সেরে আবারো পড়তে বসে। 

তার মা এসে জিগ্যেস করে, আচ্ছা বাবা কৈশিক তুই সত্যি করে বল তো,  গতরাতটা তুই কোথায় কাটিয়েছিস? কৈশিক জবাব দেয়, মা আমি তো পরশের বাড়িতে গিয়েছিলাম। গতরাতটা আমি সেখানেই ছিলাম। তার মা বলে এতো বন্ধু থাকতে তুই কেন পরশের বাড়িতেই গেলি! জানিস না পরশের বাড়িতে বিয়ে উপযুক্ত একটি মেয়ে আছে। তুই জানিসই তো তারা কেমন মানুষ। লোকে কি বলবে। আর তারা যদি তোর সাথে...! মা তুমি এসব বলছো! ছিঃ!! মা তুমি এসব ভাবলে কি করে! 

দেখ বাবা বর্তমানে আশেপাশে কিন্তু এটাই হচ্ছে। অকালেই অনেক ছেলের ক্যারিয়ার নষ্ট হচ্ছে। তাও কিছু মেয়েদের জন্য নষ্ট হচ্ছে। তাই বলছি তুই আর পরশদের বাড়িতে যাবিনা। কৈশিক বলে মা তুমি আমাকে এতোটা অবিশ্বাস করো! !! 
" দেখ বাবা এখানে বিশ্বাস অবিশ্বাসের কথা উঠেনি। তুই পরশের বাড়িতে গেলে মেয়েটা যদি তোকে ভালোবাসার কথা বলে। আর তোর। ক্যারিয়ারটা তখন কোথায় যাবে। তখন তো পড়ালেখা বাদ দিয়ে নিজের লাইফটা বরবাদ করবি। আমি বাবা অতো কথা বুঝি না। তুই কাল থেকে পরশদের বাড়িতে যাবি না মানে যাবি না।

সেদিন কেশিক কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে পরশের বাড়িতে যায়। বাড়িতে অবন্তিকে ছাড়া কাওকে দেখা যাচ্ছে না। কৈশিক জিগ্যেস করে পরশ কোথায়? জবাবে অবন্তি বলে ভাইয়া তো কাজে বাহিরে গেছে। আমি আম্মুকা ডেকে দেই? কেশিক বলে না তার দরকার নেই। কৈশিক এক দৃষ্টিতে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছে। মেয়েটির মুখের দিকে তাকালে কেমন যেন মায়া কাজ করে। তার কাছে অবন্তিকে বেশ ভালোই লাগে। অবন্তিও বেপার টা খেয়াল করে। আপনি তাহলে পরে আসুন। কৈশিক বলে পানি…মানে বলছিলাম এক গ্লাস পানি হবে? —আপনি দাড়ান আমি পানি নিয়ে আসছি। একথা বলে অবন্তি ঘরে প্রবেশ করে। 

কৈশিক খানিক সময়ের জন্য কল্পনার রাজ্যে চলে যায়। সে দেখতে পায়, অফিস করে কেশিক বাসায় ফিরে। দরজার খুলতেই অবন্তির মায়া চেহারাখানি ভেসে উঠে। অবন্তি তাকে দেখামাত্রই জড়িয়ে ধরে। তুমি এসেছো? আমার একা থাকতে একটুও ভালো লাগে না। কৈশিক অবন্তিকে জড়িয়ে ধরে তার মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে থাকে আরে বলে কি আমার মিষ্টি বউটা। আমি এসে গেছি তো।  ___তুমি জানো না, তোমাকে না দেখলে আমার সময় ভালো কাটে না।
—-জানি তো। তাইতো দ্রুত কাজ শেষ করে তোমার কাছে ছুটে এসেছি।
—-তুমি আসবে বলে আমি সেই কখন থেকে তোমার অপেক্ষায় আছি। তোমার জন্য আমি শরবত বানিয়ে রেখেছি। 

কৈশিক অবন্তিকে ছাড়লে সে শরবত আনতে পাশের রুমে যায়। আর খানিক বাদেই অবন্তি এক গ্লাস শরবত হাতে তার সামনে দাড়িয়ে আছে। কৈশিক এক দৃষ্টিতে অবন্তির দিকে তাকিয়ে আছে। এদিকে অবন্তি বার বার বলছে এই যে শুনছেন!!! কৈশিক বলে গ্লাস থেকে একটু শরবত তুমি খাও। অবন্তি পানি হাতে নিয়ে ইতস্ততবোধ করছে। কৈশিক আস্তে আস্তে অবন্তির কাছে যায়। অবন্তির হাত থেকে গ্লাসটা নিতে গেলেই সেটি হাত ফসকে মাটিতে পরে যায়। মুহুর্তের মধ্ে কৈশিক কল্পনার জগত থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে। গ্লাসটি মাটিতে পরে ভেঙ্গে গেছে। অবন্তি বলে একি আপনি তো গ্লাসটি ভেঙ্গে ফেললেন। 

কৈশিক এক দৃষ্টিতে অবন্তির দিকে তাকিয়ে আছে। মেয়েটার চেহারায় মায়া মায়া ভাব স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। ও্্হ সরি বলেই কৈশিক সেখান থেকে উঠে পরে।  তখনই অবন্তির মা চলে আসে। আরে কপালপুড়া মাইয়া তুই এটা কি করলি!  গ্লাসটা ভেঙ্গে ফেললি বলেই তিনি অবন্তীর গালে একটা থাপ্প,ড় দেয়। বলি ঘরের জিনিসগুলো কোথায় গুছিয়ে দেখেশুনে রাখবি তা না ভেঙ্গে বসে আছিস। তোকে নিয়ে আর পারা গেল না। তখনই পরশ চলে আসে। আরে কৈশিক তুই কখন আসলি? ___এইতো কিছুক্ষণ হলো। 

পরশ তার মাকে জিগ্যেস করে, —কি বেপার মা গ্লাসটি কে ভেঙ্গেছে। 
—-কে আবার ভেঙ্গেছে, তোর ছোট বোন ছাড়া।

পরশ তার মা ও কৈশিকের সামনেই অবন্তির গালে কষে একটা থাপ্পড় দিয়ে বলতে থাকে, তুই এটা কি করলি! এই গ্লাসটাতে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তুই কিনা আজ গ্লাসটা ভেঙ্গে ফেললি।  পাশে দাড়িয়ে থেকে কৈশিক সবকিছু দেখছে। কৈশিক পরশকে বলতে থাকে, ছিঃ পরশ তোকে কতো ভালো জানতাম। আর তুই কিনা ছোটবোন সামান্য একটা গ্লাস ভেঙ্গেছে বলে তার গায়ে হাত তুলেছিস। অবন্তি তোর ছোট বোন হয়। কোথায় তাকে আদর স্নেহ করবি। আর আপনি কেমন মা! অবন্তি একটা গ্লাসই তো ভেঙ্গেছে। সেজন্য মা হিসেবে তাকে এভাবে মারাটা আপনার ঠিক হয়নি। 

কৈশিক রাগে পরশের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তখনও সে খেয়াল করে অবন্তির চোখজোড়া পানিতে টলমল করছে। মেয়েটার মনে হয়তো অনেক কথা জমা হয়ে আছে। যা সে কাওকেই বলতে পারছে না। অবন্তির জন্য কৈশিকের অনেক খারাপ লাগে। সে বাড়িতে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে অবন্তির কথা ভাবতে থাকে। সে অবন্তিকে নিয়ে ভাবনাতে এতোটাই বিভোর হয়ে থাকে যে,  গতরাতে ঘটে যাওয়া সেই ভয়ঙ্কর মহিলার বেপারটি সে প্রায় ভূলেই গেছে। তার চোখের সামনে তখনও অবন্তির মায়াভরা চেহারা ভাসে। আহা মেয়েটা মা ও ভাইয়ের এরূপ শাসন অত্যাচার নিরবে সহ্য  করছে। তার মনটা ছটফট করছে। না যেভাবেই হোক আজই সে অবন্তির সাথে দেখা করে ক্ষমা চাইবে।

দোষটা তো তারই। সে পানি পান করার কথা বলে কল্পনার জগতে হারিয়ে গিয়েছিল। এখন যেভাবেই হোক অবন্তির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। দিনশেষে সন্ধা হয়ে আসে। তবুও কৈশিক অবন্তির কথা ভূলতে পারে না। এদিকে কৈশিকের মা তাকে অবন্তির বাড়িতে যেতে বারন করেছে। তার মায়ের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সে সন্ধার পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। নিরিবিলি রাস্তায় হাটতে হাটতে অবন্তির বাড়ির দিকে যেতে থাকে। রাস্তার দুপাশে ঝোপঝাড়ে ভরপুর। ঝিঝিপোকার ডাক ছাড়া আর কিছু কানে আসে না। হঠাৎই পেছন থেকে কেউ একজন কৈশিকের নাম ধরে ডেকে উঠে! 

চলবে ….

(পরবর্তী আসবে আগামীকাল রাত ঠিক নয়টায়)

গল্পটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে,তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।সবার কমেন্ট আশা করছি।আপনার একটা কমেন্টই ভৌতিক গল্পকে নতুন গল্প লিখতে উৎসাহীত করবে। আর একটা কথা ,আপনার আশেপাশে পরিচিত যারা ভৌতিক গল্প পড়তে পছন্দ করে।তাদেরকে ভৌতিক গল্পে আমন্ত্রন করে গল্প পড়ার সুযোগ করে দিন।যাতে তারাও গল্পগুলো পড়তে পারে।সবাইকে ভৌতিক গল্পের বেপারে জানান ও ভৌতিক গল্প পড়তে উৎসাহিত করুন।

কপিরাইট: গল্পটির সমস্ত লেখায় লেখকের নিজস্ব লেখা। লেখকের কাছে সমস্ত লেখা নিজের সন্তানের মতো। তাই গল্পটি কেউ শেয়ার করতে চাইলে, অবশ্যই এডমিনের অনুমতি নিয়ে লেখককে ক্রেডিট দিয়ে তারপর শেয়ার করবেন।গল্পে অবশ্যই ভৌতিক গল্প পেইজটি মেনশন দিতে হবে। বাধ্তামূলক "ভৌতিক গল্প" পেইজটিকে মেনশন দিতেই হবে। তাছাড়াও চাইলে আপনি গল্পটি সরাসরি শেয়ার করতে পারেন। 

গল্প : ডাকিনী সিজন ৩ (প্রথম পর্ব) 
লেখক : আনোয়ার হোসেন
প্রকাশ : ০১এপ্রিল ২০২৪, সোমবার
সময়: রাত ৯:০০টায়
Cradit : ভৌতিক গল্প

#ভূতের_গল্প #ডাকিনী_সিজন_৩ #ডাকিনী #highlightseveryone #foryoupageシ #ডাকিনী_সিজন_৩_গল্পের_লিংক #আনোয়ারহোসেন #ভূতেরভয়ংকরগল্প #ambg82 #virals #foryou #foryourpage #ডাকিনীসিজন৩গল্পেরলিংক #Horror_Story #horrorstory #BhootFM #bhoot #ghost #viralposts #viralpage #ভূতেরগল্প #ghoststory #লেখকআনোয়ারহোসেন


comment

Comments ( 0 )

No Record Found.

Related Videos